ধর্ষকের বিরুদ্ধে কি কিছু বলা যাবেনা ?
গতকাল বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নিজ শিক্ষককে গলাধাক্কা দেয় সাংসদ সাইমুম’ শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে তাকে আমি গলা ধাক্কা দিয়েছি। যা মোটেও সত্য নয়। মুলতঃ প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় নিয়ে উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়েছিল। তাকে আমার শিক্ষক হিসেবে সংবাদে দেখা হয়েছে। অথচ তিনি কখনো আমার শিক্ষক ছিলেন না। তিনি একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শান্তি বাহিনীর সহযোগি ছিলেন এবং পাক হানাদারদের বাজার করে দিতেন, যাহা এলাকাবাসি জানেন। তিনি জিয়াউর রহমানের বিএনপি ও এরশাদ সরকারের জাতীয় পার্টির আমলে সক্রিয় নেতা ছিলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ বিরোধী বক্তব্য রাখার কারনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দ্বারা ১৯৮৫ সালের উপজেলা নির্বাচনে, ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে ও ৯০ এর গণআন্দোলনে গনপিটুনীর শিকার হন।
তিনি একজন ধর্ষন মামলার অভিযুক্ত আসামি। রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনৈক ছাত্রীকে ধর্ষন করিলে এলাকাবাসি তাকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয়। এঘটনায় কারনে পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পর পর চার বার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। উখিয়ারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অনুরুপ ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে গণধোলাইর শিকার হয়। তৎকালিন খালেদা জিয়া সরকারের আমলে বিএনপির নেতাদের মাধ্যমে তিনি সাজা ভোগ না করে সুবিধা অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির সাবেক সাংসদের স্কুলের শিক্ষক। তাকে অন্য কেউ জায়গা দেয় নাই বলে বিএনপি নেতার আশ্রয়ে আছেন।
মুলতঃ সেই দিনের ঘটনার সুত্রপাত হলো ঢাকাস্থ রামু সমিতির কার্যকরি সভায় এক সদস্য সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের অনুপস্থিতির কথা বলিলে আমি দাওয়াত পাইনাই বলে আসতে পারিনা। একদিন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল(অবঃ) ফোরকান আহমদ সাহেব আমাকে রামু সমিতির অনুষ্ঠানের কথা বলিলে আমি লজ্জা পাই, কারন আমাকে দাওয়াত করা হয় নাই। অথচ ফোরকান সাহেব অতিথি হয়ে সব বিষয়ে জানেন। আমার বক্তব্যের পরে ঢাকাস্থ রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও পোষ্ট অফিসের সাবেক ডিজি আব্দুল মোমেন চৌধুরী তাদের বক্তব্যে বিষয়টি আর ভুল হবেনা বলে সুরাহা দেন।
উক্ত কমিটির সেক্রেটারি সুজন শর্মা বিষয়টি কর্নেল ফোরকান সাহেবকে বলেন যে, উনাকে দাওয়াত করাতে আমি সুজনকে নাজেহাল করেছি। এই মিথ্যা বিষয় নিয়ে ফোরকান সাহেব মনক্ষুন্ন হয়ে মিথ্যা অজুহাতে আমার উপর রাগ দেখান। এই বিষয়টি নিয়ে আমি সুজন শর্মার পিতা সুনীল শর্মাকে বলি- আপনার ছেলে, আমি এবং ফোরকান সাহেবের মধ্যে যে তিক্ততা শুরু করেছে এগুলো বন্ধ করতে বলুন। বিষয়টি অনেক মানুষের সামনে ঘটলেও তাকে গলাধাক্কা দেয়া হয়েছে এ কথা কেউ বলতে পারবে না। মুলত সে আওয়ামী বিরোধী লোক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকে তাল বানিয়ে বিএনপি ও আমার প্রতিপক্ষদের অপরাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু)
১৬ জানুয়ারি ২০১৮